মিরসরাইয়ে ঝর্ণায় তলিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু, নিখোঁজ ১

উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেড়াতে গিয়ে নাপিত্ত্যাছড়া ঝর্ণায় তলিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  নিখোঁজ আছেন আরেকজন।  মৃতরা হলেন হালিশহরের বি ব্লকের তানভীর মাসুদ ও তার ছোট ভাই তৌফিক মাসুদের বন্ধু মো. ইসতিয়াক।  আর নিখোঁজ আছে তৌফিক।
মাসুদ পড়তেন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে।  তার ছোট ভাই তৌফিক ও তৌফিকের বন্ধু ইসতিয়াক এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।  তিনি বলেন, ‘তারা ঝর্ণায় গিয়েছিল রবিবার সকালে।  আমাদের ধারণা, বৃষ্টিতে ঝর্ণার পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা তলিয়ে গেছে।  রবিবার সন্ধ্যায় একজনের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।  তবে তখন তার পরিচয় জানা যায়নি।  রবিবার সন্ধ্যায় ছেলেরা বাড়ি ফিরে না গেলে তাদের পরিবার খোঁজ লাগায়।  তৌফিকের এক বন্ধু বিষয়টি আমাদের জানালে মরদেহটি ইসতিয়াকের বলে আমরা নিশ্চিত হই।  এরপর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।  সোমবার বিকেল ৫ টায় ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূরে ঝর্ণার পানিপ্রবাহ থেকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এখনও পাওয়া যায়নি তৌফিককে’।
তৌফিকের বন্ধু মেহেদী হাসান মাহি বলেন, ‘তারা গতকাল সকাল ৭ টায় বাসা থেকে ঝর্ণার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় আন্টি আমাকে জানায়।  ফেসবুকে নাপিত্ত্যাছড়া থেকে একটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা দেখে মিরসরাই থানায় যোগাযোগ করে বুঝতে পারি এটা ইসতিয়াকের মরদেহ।  তখন ফায়ার সার্ভিসকে জানাই।  তারা আজ (সোমবার) বিকেলে তানভীর ভাইয়ের মরদেহও উদ্ধার করছে’।
মিরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, ‘প্রথম মরদেহটি পাওয়া যায় গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায়।  তার শরীরে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন আছে।  তাই ধারণা করছি, ঝর্ণার ওপর থেকে পড়ে মারা গেছে।  আবার এমনও হতে পারে যে প্রবল স্রোতে পাথরে ধাক্কা লেগে আঘাত পেয়েছে।  শুরুতে পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায় তার নাম ইসতিয়াক।  ঝর্ণার কাছাকাছি তার মরদেহ পাওয়া যায়।  আজ (সোমবার) ৫ টার দিকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  তার শরীরেও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন আছে।  তবে মরদেহ ফুলে যাওয়ায় এখন খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না।  এখনও নিখোঁজ রয়েছে একজন।  দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে’।

ডিসি/এসআইকে/এসইউআর