দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ইউক্রেনের একটি কোম্পানি পরিচালিত অ্যান্তনভ এএন-১২ প্লেনটি বাংলাদেশে যাওয়ার সময় স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেবোজসা স্টেফানোভিক। ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু রানওয়েতে পৌঁছানোর আগেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। সে সময় বিমানটিতে আটজন আরোহী ছিলেন। এই বিমানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য মর্টারশেল ছিল বলে জানায় আইএসপিআর।
এর আগে এক সংবাদে আল জাজিরা জানায়, গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো প্লেনের ৮ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাভালা শহরে ওই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী ইআরটিকে জানান, বিকট শব্দ শোনার পর তিনি বাইরে গিয়ে দেখেন প্লেনটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে কিন্তু ক্রমাগত বিস্ফোরণের কারণে তারা দুর্ঘটনাস্থলের কাছে যেতে পারেনি। এদিকে শনিবার রাতে গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো প্লেনটি প্রশিক্ষণ মর্টার শেল নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল, তবে এতে কোনো অস্ত্র ছিল না, কার্গো ফ্লাইটটির বিমাও করা ছিল বলে রবিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, ডিজিডিপি (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, উক্ত চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং উক্ত চালানটি বিমার আওতাভুক্ত।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ