আবারও ভেঙে পড়লো বাঘাইছড়ির কাঁচালং সেতু

রাঙামাটি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
মেরামতের ৩ দিনের মাথায় রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার কাঁচালং সেতুর পাটাতন আবারও ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের কাঁচালং সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে ইট বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ফলে উপজেলার সাথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিদারুন দুর্ভোগে পড়েছেন সংশ্লিষ্টপথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার (১২ মে) সকাল ৮ টায় সীমান্ত সড়কের জন্য নিয়ে আসা ইট বোঝাই একটি ট্রাক সেতুতে উঠার পরপরই পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এতে সেতুর দুই পাশে বহু যানবাহন আটকা পড়ে। তবে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেতু ভাঙ্গার ফলে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
এর আগে গত ৮ মে সকালে পাথর বোঝাই একটি ট্রাকসহ সেতুটি ভেঙে গিয়ে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগের দুইদিনের চেষ্টায় সেতু মেরামতের পর পৌরসভা ও সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ১০ টনের অধিক ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সড়ক বিভাগের লোকজনকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য নতুন সেতুর এক পাশ খুলে দেয়া হয়েছে।
পুরাতন সেতু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি নতুন সেতুর কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয় পুরাতন সেতু দিয়ে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশী মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের সকল ইউনিটকে কাজে নামিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে সেতু মেরামতের কাজ শুরু করবো। এছাড়া নতুন সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়কের কিছু কাজ বাকী রয়েছে সেটিও চলমান রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি এই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি কাজ শেষ করার কথা ছিল। কুমিল্লা জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স সেতুটি নির্মাণ করছে। নির্মাণাধীন অবস্থায় এর আগেও একবার এই সেতুর গার্ডারটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, সেতু নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এর আগেও দুইবার গার্ডার ভেঙে পড়েছিলো। বারবার সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

ডিসি/এসআইকে/এমকেইউ