কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বলবত রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, আজ আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের এ সভার পর বেলা আড়াইটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে সুন্দরবনে মাছ শিকার করতে যাওয়া জেলেরা নৌকা নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন। আজ সকালে কয়রার কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনসংলগ্ন সুতিয়া বাজার লঞ্চঘাটের পাশে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে দেওয়া ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি ঝরাবে। দেশের তিন বিভাগ- চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালে এ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির কারণে দেশের পাঁচ জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল শুক্রবার রাত ৯ টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে। আজ সেই সংকেত পাল্টানো হলো।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ