বান্দরবানের পর কক্সবাজারের সঙ্গেও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সারা দেশের সঙ্গে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট)সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় এ দুই পথে যান চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।
সড়কে পানি বাড়তে থাকলে গতকাল সোমবার রাত থেকেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল কমে যায়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট)সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুনভাবে বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরি নদীর পানির বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরির বিপদসীমা ধরা হয় ৫ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট)সকালে নদীতে পানি প্রবাহিত হয়েছে ৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদিয়া মাদ্রাসা ও নামার চিরিংগা পয়েন্টে শহররক্ষা বাঁধ উপচে বন্যার পানিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক তলিয়ে গেছে।
পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, ‘চকরিয়া-বদরখালী সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ চলছে’।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘মাতামুহুরির পানি বেড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ পৌর শহরের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার্তদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো চকরিয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জামাল মোর্শেদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে মাতামুহুরি নদীতে পানি বেড়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পৌর শহরের মজিদিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে মাতামুহুরির পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। বান্দরবানের আলীকদম ও লামায় বৃষ্টিপাত কমলে পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে আশা করছি’।
এদিকে বন্যার পানিতে কেরানিহাট-বান্দরবান সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ কারণে গতকাল সোমবার সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়কযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ