বাঁশখালীতে রাস্তা দখল করে ইটের জমজমাট ব্যবসা!

বাঁশখালী প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর-বাহারচড়া সমুদ্র সড়কের মাইজপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি রাস্তা দখল করে জমজমাট ইটের ব্যবসা চালিয়ে আসছে কয়েকটি গোষ্ঠী।  ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাসহ সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা।  সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গড়ে তোলা হয়েছে ওই এলাকায় লম্বা চিমনির মেসার্স চৌধুরীসহ ৩টি ইটভাটা।  প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাহারছড়ায় লোকালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন আরো একটি ইটভাটা, যা পরিবেশসম্মত নয়।  রাস্তার পাশেই কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা।  এক কিলোমিটারের ব্যবধানে একে একে গড়ে উঠেছে চারটি ইটভাটা।  এসব ইটভাটার দূষিত ধোঁয়া ও ইট বহনকারী ট্রাকের দূষিত ধোঁয়ায় পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাহারচড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় জনবহুল এ সড়কটির উপরে রাস্তায় অবৈধভাবে ইটের রমরমা ব্যবসা করে আসছে একটি মহল।  রাস্তার দুই পাশে সারি সারি রাখা আছে ইটের স্তূপ।  এতে দখল হয়ে গেছে রাস্তার অর্ধেক জায়গা।  এ কারণে উক্ত সড়ক ব্যবহারকারী কাথরিয়া, সরল, খানখানাবাদ ও বাহারচড়া ইউনিয়নের জনসাধারণসহ বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে দৃষ্টিকটু লাগার পাশাপাশি চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।  ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনাসহ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।  ইটের ব্যবসা পরিচালনার জন্য এ জনবহুল পর্যটন সড়ক দিয়ে এখন চলাচল করছে ভারী যানবাহন।  ফলে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।  প্রতি বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সিএনজি অটো রিকশাচালক মো. সেলিম জানান, এ সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটক সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন।  কিন্তু টেক্সিতে যখন পর্যটেকরা থাকেন তখন তারা সড়কের উভয়পাশে স্তুপ করে রাখা ইট নিয়ে মন্তব্য করেন।  সড়কের উপর ইট রেখে, সেগুলো বিক্রি, ট্রাক থামিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ইটগুলো ট্রাকে তোলা এবং ইট ভাটা থেকে ইট বহনকারী ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে পুরো রাস্তা অনেক সময় জ্যাম হয়ে যায়।  যার কারণে সাধারণ জনগণ ও পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত।
বাহারচড়া ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘এভাবে সড়কের পাশে ইট বিক্রি করার কোনো নিয়ম নেই।  যে বা যারাই সড়কটি দখল করে ইট ব্যবসা করুক না কেন, তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি