বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৮৪ হাতির মৃত্যুর ঘটনায় করা রিট খারিজ

এম. শারফুল আল, ঢাকা অফিস প্রধান >>>
পিম্যাচিউর (অপরিপক্ক) হওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত ১৯ বছরে ৮৪ হাতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত চেয়ে করা রিটটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।  বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জানান, রিট আবেদনটি প্রিম্যাচিউর বলে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।  তবে এ বিষয়ে আপীল আবেদন করা হবে।
আদালত আদেশের আগে বলেছে, রিটটি প্রিম্যাচিউর (অপরিপক্ব)। এ ছাড়া হাতি নিয়ে রিট করার আগে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ না পাঠিয়ে মামলা করা হয়েছে।  তাই এটি খারিজ করেছে আদালত।
গত ২৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ২৪ আগস্ট আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।  রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষককে বিবাদি করা হয়।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বনবিভাগের তথ্যমতে- চট্টগ্রাম ফরেস্ট সার্কেলে (কক্সবাজার, বান্দরবানের অংশ, চট্টগ্রাম শহর এবং রাঙামাটি) গত ১৯ বছরে ১০৬টি হাতি মারা গেছে।  এর মধ্যে দুর্ঘটনায় ৩২টি, অসুস্থ হয়ে ২৯টি, ২২টি বার্ধক্যজনিত জটিলতায়, বিদ্যুতায়িত হয়ে ১৫টি এবং আটটি গুলিতে মারা যায়।
রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত ১৯ বছরে শ’খানেক হাতির মৃত্যু হয়েছে।  এর মধ্যে ২২টি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে।  বাকি ৮৪ টির বিষয়ে তদন্ত চাওয়া হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ