লামায় বন্যহাতির আক্রমণ থেকে রক্ষায় ইআরটি দল গঠন

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বন্যহাতির বিস্তৃতি রয়েছে।  কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ পাহাড়ে স্থানীয়দের বসতির কারণে হাতির আবাস্থল ধ্বংস, করিডোর বিনষ্ট ও খাদ্যের অভাবসহ নানা প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়।  এতে হাতিগুলো খাদ্যের সন্ধানে প্রতিনিয়ত লোকালয়ে নেমে পড়ছে।  আর ক্ষতি করে চলেছে মানুষ ও ফসলের।  এ ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১০ সদস্যবিশিষ্ট এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ই আর টি) গঠন করা হয়েছে।  হাতির আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি কুমারী এলাকায় প্রথম বারের মত এ কমিটি গঠন করা হয়।  লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার ও বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ সার্বিক সহযোগিতা করেন।
গঠিত কমিটির সদস্যদেরকে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপি কুমারী বাজারে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে হাতির জীবনযাত্রা, চলাফেরা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণার পাশাপাশি প্রতিহতের কৌশল শিক্ষা দেওয়া দেওয়া হয়।  বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার মো. ইসমাইল হোসেন, বন্য প্রাণী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম কৌশল শিক্ষা দেন।  শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পোশাক, হ্যান্ড মাইক, বাঁশি ও টর্চ লাইট প্রদান করা হয়।
এ সময় লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম হাফিজ, কুমারী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হুমায়ন কবির, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এসআরপি