শেষ রক্তবিন্দু থাকতে সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দিবো না : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল করতে হলে আমাদের রক্তের ওপর করতে হবে।  দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল করতে দেয়া হবে না।  যেকোনো মূল্যে চট্টগ্রামের ফুসফুস, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন তথা বীর শহীদদের সমাধি চট্টগ্রামবাসী রক্ষা করবে।  তাদের সঙ্গে আছে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও নগর আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, সংসদের আগামি অধিবেশনে সিআরবি রক্ষার দাবি উত্থাপন করবো।  তার আগে জানাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, তুলে ধরব যাবতীয় অসঙ্গতি।
রবিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সিআরবি চত্বরে সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল করতে দেবেন না।  তিনি নিজেও পরিবেশ এবং প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার প্রধান।
তিনি হাসপাতাল প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামে হাসপাতাল করার মতো জায়গার অভাব নেই।  সাবেক হাজি ক্যাম্পসহ অন্য যেকোনো স্থানে হাসপাতাল করলে চট্টগ্রামবাসীর আপত্তি থাকবে না।  চট্টগ্রামের মানুষ প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে সিআরবি রক্ষা করবে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নয়, এখানে হতে পারে পাখির অভয়ারণ্য আর জাদুঘর।  এর মধ্য দিয়ে রক্ষা পাবে প্রকৃতি, ঐতিহ্য আর ইতিহাস।  তিনি বলেন, রেলওয়ের এই সম্পত্তি গেজেটেড হেরিটেজি জোন।  এটিতে কোনো স্থাপনা হলে ঘটবে আইনের লঙ্ঘন।  কারও কারও ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক লাভের জন্য সরকার আইন না মেনে জনগণের বিপক্ষে যাবে না বলে আমার বিশ্বাস।
সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, পরিবেশবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, স্থপতি জেরিনা হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত তালুকদার, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান ইমু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান রুহেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নাগরিক সমাজের যুগ্ম সদস্য সচিব স্বপন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, নগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, শ্রমিক লীগ নেতা বখতিয়ার খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা রাশেদ খান মেনন, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, দিলরুবা খানম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাইদ ইরান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব।

ডিসি/এসআইকে/আরসি