মানিকছড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা

মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি  >>>
খাগড়াছড়ির প্রবেশদ্বার মানিকছড়ি উপজেলার নয়নাভিরাম জনপদ মহামুনি।  খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে নৈসর্গিয় পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধনের প্রহর গুনছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশব্যাপি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকার।  এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করলে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজটি পায় খাগড়াছড়ি জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত বিকাশ চাকমা।  ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে ঠিকাদারের পক্ষে কাজটি সরেজমিনে তদারকিতে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন।  ভবন নির্মাণ কাজ শেষে এখন চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, প্রকল্পের প্রাক্কলিত বরাদ্দ অনুযায়ী প্রকল্পটি যথা নিয়মে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।  চলছে ভবন বুঝিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি।  এছাড়া ভবনে যাতায়াতে যে সকট নির্মাণ করা হয়েছে সেই সড়কের দু’পাশে স্থায়ী ব্লক বসানোর জন্য প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে আরেকটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি জনপদে ধরে রাখা এবং মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডদের অফিসিয়াল কাজ-কর্মের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলে দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  এর মধ্য দিয়ে জাতির অহংকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন।  আমরা অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবেই ভবনটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দেবো।
মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সফিউল আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা’র আন্তরিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় আজ আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) সম্মানের সাথে বেঁচে আছি।  জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে সরকারের গৃহিত সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন একটি কমপ্লেক্স পেয়েছি।  এজন্য আবারও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ড পরিবারের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
মানিকছড়ি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।  নিয়ম অনুযায়ী আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ভবনটি সহসাই বুঝিয়ে দেবো।  সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের ফলে মুক্তিযোদ্ধারা নিজ কমপ্লেক্সে বসে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম সম্পন্ন করাসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে পারবেন।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএইচ