পাহাড়ে নিষ্প্রভ ‘বৈসাবি উৎসব’

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি জনগোষ্ঠির ১০ ভাষা-ভাষির মধ্যে চাকমারা বলে বিজু, মারমা-রাখাইনরা বলে সাংগ্রাই, ত্রিপুরা বলে বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বলে বিষু এবং অহমিয়ারা (আসাম) বলে বিহু।  আর এসব কিছুর সংমিশ্রণে বলা হয় ‘বৈসাবি’।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পহেলা বৈশাখ এক নিয়মে পালন করলেও পাহাড়ে পালন করা হয় ভিন্নভাবে।  চার দিনব্যাপী ব্যাপক উৎসবে পাহাড় তখন আনন্দে মাতহারা হয়ে ওঠে।  যা দেশের কোথাও দেখা যায় না।  আর এমন বৈচিত্র এ অঞ্চলকে আলাদা সত্ত্বার সৌন্দর্য দান করেছে।  এজন্য পাহাড়ের বৈচিত্রের সুখ্যাতিতে মুগ্ধ হয়ে অনেক পর্যটক এ উৎসবে যোগ দিতে অগ্রিম চলে আসেন এখানে।
তবে মাহামারি করোনা এইবারের বৈসাবি উৎসবের আনন্দটাকে কেড়ে নিয়েছে।  বৈসাবির আর মাত্র কিছুদিন বাকি।  কিন্তু নেই কোনো উৎসব আমেজের রং।  পাহাড়ে এ মৌসুমটা পুরো রংহীন থাকবে।  এমনটা জানিয়েছেন, উৎসব আয়োজন কমিটির সংশ্লিষ্টরা।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা বলেন, মহামারি করোনার কারণে গত বছরও আমরা উৎসব পালন করতে পারেনি।  এ বছরও করোনা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।  তাই করোনা মোকাবিলায় আমরা এ বছর উৎসব পালন থেকে বিরত থাকবো।
রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুরেশ ত্রিপুরা বলেন, দেশে করোনার ক্রান্তিকাল চলছে।  তাই এ বছর উৎসব পালন করা হবে না।  মন খারাপ হলেও জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে করোনা মোকাবিলায় আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ