কে এই যুবক?

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দেখতে সুদর্শন, শশ্রুমন্ডিত এ যুবকের পরনে আকাশি রঙের জিন্সের প্যান্ট। উদোম শরীর, পায়ে জুতাও নেই। গায়ে দু-এক জায়গায় আঁচড়ের লালচে দাগ, কোথাও বা বালি-কাদা লেগে আছে। প্রায় জনশূন্য রাস্তায় আপন মনে একাকী হাঁটছিলেন আবার কিছু ভাবতে ভাবতে ফুটপাতে বসে পড়ছিলেন। সাহায্যের আশায় বের হওয়া হতদরিদ্র কয়েকজন বৃদ্ধা অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
‘তিনদিন যাবত রাস্তায় আছি। গোসল করাটা ইমার্জেন্সি। কিন্তু বাসা তো চিনি না’। রাজধানীর নীলক্ষেতের অদূরে গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এ কথা বলছিলেন এক যুবক।
কৌতূহলবশত এগিয়ে গিয়ে তার নাম-পরিচয় জানতে চাইলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। এরপর তিনি তার নাম ও ঠিকানা ভুলে গেছেন বলে জানান। মানিব্যাগের পকেটে কোনো কাগজপত্র আছে কি-না জিজ্ঞাসা করতেই জিন্সের প্যান্টের পেছন থেকে মানিব্যাগ বের করতেই তাতে ভিসা কার্ড ও কিছু টাকা দেখা যায়। এখানে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যক্তিগত বিজনেস কার্ড পাওয়া যায়।জাতীয় পরিচয়পত্রটিতে তার নাম ফজলুল হক, বাবা শামীমুল হক, মাতা আয়েশা বেগম, জন্মতারিখ ১ এপ্রিল ১৯৮৬। বাসার ঠিকানা ২৫১ বংশাল রোড কোতোয়ালী্। বিজনেস কার্ডে মো. ফজলুল হক (জনি), প্রোপাইটার হক ফ্যাশন (অল কাইন্ডস অব এক্সপোর্ট কোয়ালিটি অ্যাপারেলস) হাউজ নং ৯১, রোড-১৪, সেক্টর-১১ উত্তরা লেখা রয়েছে।
যুবক তার নিজের মোবাইল নম্বর বললেও সঙ্গে মোবাইল ছিল না। তার বলা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রথমে ফোন গেলেও পরে বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার এক সময় ভালো ব্যবসা ছিল। কেউ তার ব্যবসা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখতে সুদর্শন, কথাবার্তা চটপটে এ যুবকের প্রকৃতপক্ষে কী পরিচয় ও কোথায় তার বাসা ইত্যাদি প্রশ্ন করলেও তিনি নীরব থাকেন। এই যুবকের সংবাদটি অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগোনিউজ২৪ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি তুলে ধরেন।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে