শিশুর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে?

জেনে নিন ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
জ্বর যেহেতু যে কোনো রোগের লক্ষণ, তাই জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই সময় জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি থাকাটা মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়।  আর যদি জ্বরের সঙ্গে সর্দি বা গলা ব্যথা না থাকে, খাবারে অরুচি আর বমি ভাব থাকে তাহলে প্রস্রাবের সংক্রমণের কথা ভাবতে পারেন।  এমনই মতামত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতীয় ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশুরোগ চিকিৎসক জয়দীপ চৌধুরী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের বিশেষ কোনো উপসর্গ ছাড়াও মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে।  জেনে রাখা ভালো যে প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত জ্বর হলে কাশি বা গলা ব্যথা থাকে না।  তবে বমি ভাব ও বমি হলে সংক্রমণ সন্দেহ করতে হবে।
মূত্রের সংক্রমণ দ্রুত পরীক্ষা না করালে ও সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। পরবর্তীকালে জটিল সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।  দুই বছরের কম বয়সি শিশুর প্রস্রাবের সংক্রমণ হলে বিশেষ ধরনের এক্স-রে ও ডিএমএসএ স্ক্যান নামে কিডনির পরীক্ষা করানো জরুরি।
অনেক সময়ই প্রস্রাবের সংক্রমণের পিছনে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।  তবে কম পানি পান ও অপরিচ্ছন্নতার সঙ্গে প্রস্রাবের সংক্রমণের সম্পর্ক আছে।  ছোট বাচ্চাদের এক নাগাড়ে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে মূত্রনালী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
​অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার ব্যবহার করলেও প্রস্রাবের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।  তাই ছোট থেকেই শিশুকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন করা উচিত।  নানা জীবাণুর মধ্যে সব থেকে বেশি ই-কোলাই নামক জীবাণুর সংক্রমণ বেশি দেখা যায় বলে জানান জয়দীপ।  মূত্রের সংক্রমণ রোধে যেসব খেয়াল রাখতে হবে-
> শিশু যেন বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে না রাখে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বিশেষ করে খাবার আগে আর ঘুমোতে      যাবার আগে শৌচাগারে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে দিতে হবে।
> কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসা করিয়ে নেয়া উচিত।
> নাইলন বা সিন্থেটিক অন্তর্বাসের পরিবর্তে সুতির হালকা অন্তর্বাস পরতে হবে।
> আঁটোসাঁটো ট্রাউজার পরাবেন না।
> বাচ্চাদের নিয়ম করে গোসল করানো ও শুকনো করে মুছে নেয়ার ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
> ছোট বাচ্চাদের একটানা ডায়াপার পরিয়ে রাখা ঠিক নয়।
> কৃমি থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে।
> সামনে থেকে পিছন দিকে প্রস্রাবের জায়গা পরিষ্কার করতে হবে।
> জল শুষে নেয় এ রকম নরম টয়লেট পেপার ব্যবহার করতে হবে।
> বাড়ির শৌচাগার তো বটেই, স্কুলের শৌচাগারও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।

ডিসি/এসআইকে/ইউএস