নাকের হাড় বাঁকা হলে যেসব মারাত্মক সমস্যা হতে পারে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হচ্ছে নাকের হাড় বাঁকা হওয়া।  প্রায় সব দেশের মানুষের মধ্যেই এ সমস্যা কমবেশি দেখা যায়।  তবে এই সমস্যাটি ককেশিয়ানদের মধ্যে যাদের নাক খাড়া থাকে, তাদের মধ্যে বেশি মাত্রায় দেখা যায়।
নাকের হাড় অল্প বাঁকা হলে সেটি তেমন সমস্যা নয়।  এতে আপনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।  তবে যাদের নাকের হাড় বেশি বাঁকা, তারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন।  তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ঢাকা ইমপালস হসপিটালের নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, চিফ কনসালট্যান্ট, অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমীন নাকের হাড় বাঁকা হলে যেসব সমস্যা হয় এবং করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।  চলুন জেনে নেয়া যাক-
নাকের হাড় কেন বাঁকা হয়?
আমাদের নাকের পর্দা বা পার্টিশন কয়েকটি হাড় এবং কার্টিলেজের সমন্বয়ে গঠিত।  সামনের যে অংশটা নরম, তাকে আমরা সেপটাল কার্টিলেজ বলে থাকি।  এর পেছনে থাকে পারপেনডিকুলার প্লেট অব ইথময়েড ও ভোমার।  নিচে থাকে ম্যাক্সিলারি ক্রেস্ট।  এ স্ট্রাকচারের এক বা বেশি সমস্যা হলে বা বেঁকে গেলে সাধারণ ভাষায় একে ডিএনএস বলা হয়।
যেসব সমস্যা হতে পারে
>> অনেক সময় গলার স্বর বসে যেতে পারে বা খুসখুসে কাশি হতে পারে।
>> প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত রোগীর নাক বন্ধ থাকার সমস্যা দেখা দেয়।  ধীরে ধীরে দুদিকের নাকই সম্পূর্ণ          বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  এ অবস্থায় নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, নাকে গন্ধ ঠিকমতো পাওয়া যায় না বা অনেক            সময় দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
>> মাথা ভার ভার থাকা।  অনেক সময় মাথার সামনের দিকে নাকের ওপরে অথবা ঘাড়ের পেছনে ব্যথা করে।      ইনফেকশন একিউট হলে অনেক সময় প্রচণ্ড মাথাব্যথা বা জ্বর হতে পারে।
>> নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার জন্য রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়, নাকের পেছন দিক        দিয়ে প্রদাহ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘন ঘন গলা পরিষ্কার করার প্রবণতা দেখা যায়।
>> নাকের পেছনে ইউস্টেশিয়ান টিউব ঠিকমতো কাজ না করার জন্য কানের ভেতরে পর্দার অপরপাশে              পানি জমে যাওয়া, কানে কম শোনা, কানে ব্যথা এবং ইনফেকশন হওয়া এমনকি কানের পর্দা ফেটে              যাওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসা
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং তা সমস্যাযুক্ত হলে অপারেশনের মাধ্যমে একে ঠিক করে নিতে হয়।  এর সঙ্গে যদি সাইনাস বা কানের সমস্যা থাকে, তবে সেসব সমস্যাও একই সঙ্গে সমাধান করে নেয়া দরকার।  সব ধরনের সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ