২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত আরো ৫৫২, মৃত্যু ৫

ঢাকা ব্যুরো, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সারাদেশে নতুন করে আরো ৫৫২ জন ব্যক্তি কোভিড- ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ হাজার ৭৯০ জন। নতুন করে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত আরো ৩ পুরুষ ও ২ নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
আজ শনিবার (২ মে) দুুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, আমরা গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশের ৩১টি টেস্ট ল্যাবে মোট ৬ হাজার ১৯৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। তারমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৮২৭টি নমুনা। এতে করে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হয়েছেন ৫৫২ জন। দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৯০ জন।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, নতুন করে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত আরো ৫ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এই ৫ জনসহ দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির সংখ্যা ১৭৫ জন হলো। তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়াও সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৭৭ জন। একই সময়ে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন আরো ১৬৮ জন। এ নিয়ে মোট ১৬৩২ জন আইসোলেশন রোগীর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ জন। সর্বমোট ১ হাজার ২২ জন ব্যক্তি আইসোলেশন থেকে বাড়ি ফিরেছেন বলে তিনি জানান।
নাসিমা সুলতানা বলেন, সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৫৪৩ জন। একই সময়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫০ জন। সারা দেশে মোট কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৪৩ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৩৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন আরো ৬৯ হাজার ৯০ জন।
তিনি স্বাস্থ্য বুলেটিন উপস্থাপনের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪৯ বছর পেরিয়ে ৫০ বছরে পদার্পণের তথ্য জানান। বলেন, ১৯৭১ সালের ২ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠন করেন। এই মন্ত্রণালয় ১৯৭১ সালে বাংলার যুদ্ধাহত মানুষের চিকিৎসা যুদ্ধ শেষে আবারো নতুন এক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। করোনা ভাইরাস নামের এই মহামরির সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দেশের আপামর চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আমরা চাই সরকারি নির্দেশনা মেনে আপনারাও যার যার অবস্থান থেকে এই যুদ্ধের মোকাবেলা করবেন। সে জন্য ঘরে থেকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনাচরণে পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।

ডিসি//এসআইকে/এমএসএ