মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীর করোনা সনাক্ত

মিরসরাই প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক স্কুল ছাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।  ওই ছাত্রী উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের অলিনগর এলবি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১৫ বছর।  তাকে ফেনী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  বুধবার (৬ মে) দুপুর ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ওই ছাত্রীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার (৪ মে) করোনার উপসর্গ জ্বর সর্দি দেখা দেয় ওই কিশোরীর। চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ফেনী জেলার করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ফেনী ট্রমা সেন্টারে।  পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বুধবার (৬ মে) জানা যায় ওই কিশোরী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।  খবর পেয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ওই ছাত্রীর বাড়ি লকডাউনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।  এসময় চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের পক্ষ থেকে ওই যৌথ পরিবারটির জন্য পুরো একমাসের খাবার প্রদান করা হয়।  পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য গ্রাম পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, আমার ইউনিয়নে একজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।  সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই পরিবারটিকে ইউএনও’র উপস্থিতিতে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।  এজন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও পুরো ১ মাসের খাবার সরবরাহ করেছি।  তিনি সকলকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য এবং ইউনিয়নের সকল জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত বাড়ির বাইরে না যেতে অনুরোধ করেন।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ওই মেয়ের বাবা চট্টগ্রামে সিএন্ডএফ এজেন্সিতে চাকুরি করেন।  সে সূত্রে তিনি চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন।  ধারণা করা হচ্ছে- বাবার মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে সে।  পরিবারের বাকি সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।  ওই পরিবারটিসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামে রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারী ও গত ২৮ এপ্রিল মিঠানালা ইউনিয়নের পাত্তারপুকুর এলাকায় এক গাড়ি চালকের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়।  তাদের মধ্যে রাজিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।  অন্যজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডিসি/এসআইকে/এএইচ