উম্মে সালমা, নগর প্রতিবেদক >>>
করোনার দুর্যোগময় সময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অনুদান দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল। সংস্থাটির সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ১২ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর (প্রতিবন্ধী শিশু) পরিবার এই অনুদান পায়। প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা ব্র্যাক এতে সহযোগিতা প্রদান করে।
ব্র্যাকের সহযোগিতায় ঘাসফুল-সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির ১২টি পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে প্রতি জনের জন্য নগদ ১৫০০ টাকা করে সর্বমোট ১৮ হাজার বিতরণ করা হয়। যে পরিবারগুলোর মাঝে নগদ টাকা ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এসব অর্থ বিতরণ করা হয় তারা হচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরের স্টেশন কলোনীর বাসিন্দা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু মোহাম্মদ রাব্বি, আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকার মো. আলমের মেয়ে বিবি হাজেরা তিন্নি ও জিন্নাত নেছার মেয়ে সোহাগি আকতার, বাকলিয়ার শান্তিরবাগ এলাকার মো. বেলালের ছেলে মো. সিয়াম, বায়েজিদ চন্দ্রনগর এলাকার মো. বাবুল হেসেন’র ছেলে হৃদয় হোসেন ও মো. ইমরান’র ছেলে ইয়ামিন মিয়া। আকবরশাহ এলাকার নিউ শহিদ লেইন এলাকার শাহজাহান শিকদারের মেয়ে শারমিন আকতার ও একই এলাকার সুরাইয়া বেগম’র মেয়ে সাদিয়া আকতার, ফিরিঙ্গিবাজার মনোহরখালী এলাকার প্রদীপ দাশের মেয়ে শান্তা দাশ, এনায়েতবাজারের গোয়াল পাড়া’র সমীর মহাজনের ছেলে রাজদিপ মহাজন ও একই এলাকার নাজমা বেগমের মেয়ে শোকরিয়া আকতার এবং নগরের ঝাউতলা আমবাগান এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সোহান।
উল্লেখিত উপকারভোগী শিশুরা সকলেই ঘাসফুল পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন আরবার প্রকল্পের শিক্ষার্থী। উপকারভোগিরা তাদের পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশে থাকার জন্য ব্র্যাক ও ঘাসফুলকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির প্রশিক্ষক জোবায়দুর রশীদ, ব্র্যাক সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির প্রশিক্ষক মোমিনুল করিম, কোয়ালিটি ও মনিটরিং অফিসার মো. আবদুল আলী। এছাড়া ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির ফিল্ড সুপারভাইজার ও কেন্দ্রের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ঘাসফুল ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ২১টি ওয়ার্ডে ১৪২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচলনা করছে।
ডিসি/এসআইকে/এসএজে