স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বোয়ালখালীতে জরিমানা

শাহাদাত হোসাইন জুনাঈদী, বোয়ালখালী প্রতিনিধি >>>
বোয়ালখালী উপজেলা সদরের খাজা সুপার মার্কেট, জব্বার মার্কেট, আল মদিনা সুপার মার্কেটসহ বড় বড় মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যবসায়ী সমিতি।  অন্যান্য সময় জমজমাট থাকা এই মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ায় জমে উঠেছে শাকপুরা চৌমুহনী বাজার ও ফুলতল বাজারের মার্কেটসমূহ।  এই মাকের্টগুলোতে কেনাবেচার ভিড়ে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।  ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুনের নির্দেশে এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সেসব এলাকায় পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  এসময় বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল করিম সার্বিক সহযোগিতা করেন।
ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা তা না মানা, ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাবস ব্যবহার না করা এবং সামাজিক দুরত্বসহ অন্যান্য নির্দেশনা না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানার শিকার হয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।  এসময় অনেক ব্যবসায়ীদের দোকান রেখেই পালাতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার (১৩ মে) সকালে উপজেলা শাকপুরা ও ফুলতল বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এবিষয়ে এসিল্যান্ড মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, শাকপুরা বাজার ও ফুলতল বাজারে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকানে গাদাগাদি করে ক্রেতারা বসে আছেন, বিক্রেতাদের ছিল না মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাবস।  মার্কেট এর প্রবেশ পথে ছিল না করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কোনো ব্যবস্থা।  অভিযান শুরুর অল্পক্ষণের মধ্যেই বেশিরভাগ দোকানদাররা দোকানের সাঁটার ফেলে সঁটকে পড়েন। কেউ আবার দোকান খোলা রেখেই কাস্টমার রেখে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, পরে কয়েকটি দোকানে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় জরিমানা করা হয়। শাকপুরা বাজারের আজমির ফ্যাশন হাউসকে ১০ হাজার টাকা, আরাফাত গার্মেন্টসকে ১ হাজার, ফজল করিমকে ২ হাজার টাকা, আছিফ গার্মেন্টসকে ১ হাজার টাকা, ফুলতল বাজার এর মো. শাকিলকে ৫ হাজার টাকা ও পারভেজকে ১ হাজার টাকাসহ মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এসএইচজে