কর্ণফুলীতে করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে গাউছিয়া কমিটি

কর্ণফুলী প্রতিনিধি >>>
কর্ণফুলী উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফনের উদ্যোগ নিয়েছে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ।  এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলায় ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে তারা।  আজ শুক্রবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আব্দুর রহিমের ছেলে হাজী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন (৭০) নামের এক ব্যক্তির দাফন-কাফনের মাধ্যমে কর্ণফুলীতে গাউছিয়া কমিটির এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।
এ বিষয়ে গাউছিয়া কমিটি কর্ণফুলী উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক ও দাফন-কাফন কমিটির সমন্বয়ক মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন জানান, কর্ণফুলী উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১১ জনের একটি টিম করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন-কাফনে কাজ করছে।  আমাদের প্রথম কাজটি আজ শুক্রবার হয়।  এতে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা একরাম হোসেন, মু. নজরুল ইসলাম, মু. সুমন, মো. নূর মোস্তফা, মু. নূরুল আবছার, মু. দিদারুল ইসলাম, মু. আরফাত হোসেন।  এর বাইরেও ৫ ইউনিয়নেও একটি করে কমিটি হবে।  এটি নিয়ে আমরা এগুচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে দাফন কাফন করা হচ্ছে।  গাউছিয়া কমিটিকে সহযোগিতা করতে কমিটির বিত্তবানরা এগিয়ে আসছেন।  স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী মহিউদ্দিন বকুল দাফন কাফনে সুরক্ষা সামগ্রী দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  এছাড়াও লাশ দাফনে আমাদেরকে মুঠোফোনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে মহৎ সেবার গতি বাড়িয়ে দেন শিকলবাহার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলী থানার ওসি (তদন্ত) জোবাইর সৈয়দ, কর্ণফুলী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেজা বেগম নিশি, স্থানীয় মেম্বার নূর মোহাম্মদ, সমাজ সেবক মহীউদ্দীন বকুল, নূরুল আকতার কন্ট্রাক্টর, মু. ফয়সাল ইমরানসহ গাউছিয়া কমিটির শুভাকাঙ্খীরা সহযোগিতা করেন।
গাউছিয়া কমিটির এ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝেও অনেকটা স্বস্তি নেমে এসেছে।  যেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার পরিজন ও আপনজনরাও এগিয়ে আসছে না; সেখানে গাউছিয়া পটিয়া ও কর্ণফুলীতে গাউছিয়া কমিটির লোকজন মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।  তার জন্য সর্বমহল এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে