আ’লীগ নেতা ছগীরের মৃত্যুতে শোক ও ক্ষোভ উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আ’লীগের

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বায়েজিদ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগীরের চিকিৎসা না পেয়ে করুণ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে নগরের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।  চিকিৎসা না পেয়ে তার এমন মৃত্যুতে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ড আ’লীগের নেতৃবৃন্দ।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইকবাল চৌধুরী, ওয়ার্ড আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন জুয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, নগর আওয়ামী লীগ তার একনিষ্ঠ একজন বর্ষীয়ান নেতাকে হারালো।  তবে তার মৃত্যুর যে হৃদয়-বিদারক কারণ, তা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।  বর্তমান সরকার নানান সীমাবদ্ধতার মাঝেও বর্তমান করোনা মহামারি মোকাবেলায় রাত-দিন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।  স্বাস্থ্যসেবাখাতকে সম্প্রসারিত করে অধিকসংখ্যক মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে।  ঠিক সেই সময় সরকারি নীতিমালা মেনে বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল তৈরি করলেও এসব হাসপাতাল বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো মহলের ইন্ধনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করছে।  তাদের এই মানবতাবিরোধী ভূমিকার কারণে আজ আমরা আমাদের একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে অকালে হারালাম।  আমরা দায়ী ও অভিযুক্ত হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি মো. ইকবাল চৌধুরী পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে বলেন, সরকারের একার পক্ষে বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।  তাই সরকারের সহযোগী হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে দেশে বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্ম।  দেশ ও দেশের মানুষের ক্রান্তিকালে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের অংশ হিসেবে দেশের মানুষের প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ার লিখিত ওয়াদা করে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি পেলেও বর্তমান মহাদুর্যোগের সময় তারা মানবতাবিরোধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।  সরকার বার বার করোনা আক্রান্ত ও অন্যান্য সব ধরণের রোগীদের চিকিৎসাদানের নির্দেশ দিলেও দেশের বিশেষত চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো অদৃশ্য শক্তির বলে সরকারের সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।  তাদের হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি না করে ফিরিয়ে দিচ্ছে।  এতে এ পর্যন্ত অনেকগুলো মানুষের রাস্তাতেই মৃত্যুর সংবাদ আমরা জেনেছি।  আজ আমাদের দলের একজন একনিষ্ঠ, সৎ ও অকুতোভয় সৈনিককে বিনা চিকিৎসায় মরে যেতে দেখলাম।  আমরা এই ভাবে আর কত শোক প্রকাশ ও ক্ষোভ জানাবো? চট্টগ্রামে করোনার হটস্পট হয়ে চিকিৎসার অভাবে এই পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৭-৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  হাসপাতালগুলোর অবহেলায় মৃত্যুর মিছিলের ব্যপ্তি বাড়ছে।  হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে অসুস্থ রোগী-মানুষ ঘুরে বেড়াছে।  চিকিৎসা সেবার অভাবে মারা যাচ্ছে।  চট্টগ্রামের ক্লিনিকগুলো বিভিন্ন অজুহাতে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত দিচ্ছে।  এর প্রতিকারে দেশে কি কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই?  চট্টগ্রামে সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো নেই?  আমাদের দলের মন্ত্রী মহোদয়গণ, এমপি মহোদয়গণের উদ্যোগ নিয়ে এই দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকার সময় এসেছে।

ডিসি/এসআইকে/আই