আইসিইউ সেবা না পেয়ে মৃত্যু নগর বিএনপির সহ-সভাপতি কামালের

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
এবার আইসিউ সেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি লায়ন মো. কামাল উদ্দিন নামের এক নেতা।  নগরের পার্কভিউ, ম্যাক্স, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে তাকে ভর্তি নেয়া হয়নি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে।  শেষমেষ আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি নিলেও অক্সিজেন সেবা পাননি তিনি।  পরে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে মারা যান কামাল উদ্দিন। তিনি নগরের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা।  পাহাড়তলী রেলওয়ে ব্যবসায়ী সমিতি ও পাহাড়তলী ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতিও।  এলাকার তিনি খুবই সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।  আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ভোর রাতে তিনি মারা যান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, লায়ন কামাল উদ্দিন সাহেবের করোনার উপসর্গ ছিলো।  শ্বাসকষ্টে বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে।  সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি, এরপরও অক্সিজেন মেলেনি।  এর আগে পার্কভিউ, ম্যাক্স ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোথাও করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়া হয়নি।  পরে বাধ্য হয়ে আমাদের ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে যখন আনা হয় তখন তার অক্সিজেন নেমে গিয়েছিলো ৭৮-এ।  তখন তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগতো।  কিন্তু ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যার মধ্যে তিনটি রোগী ভর্তি ছিলো।  এর প্রেক্ষিতে নগরের প্রায় সব হাসপাতালে আইসিইউর খোঁজ করা হলেও কোথাও আইসিইউ মেলেনি।  মূলত আইসিইউর অভাবে তিনি মারা যান।
কামাল উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে কামাল উদ্দিন পাশে ছিলেন।  সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক।  তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গত বুধবার নগরের উল্লেখিত তিনটি হাসপাতালে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন নগরের বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগীর।  এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যেতে যেতেই গাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ডিসি/এসআইকে/আইএস