জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে ৫ মন্ত্রী-৩ মেয়রের ভার্চুয়াল বৈঠক

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন সরকারের ৫ মন্ত্রী এবং ৩ মেয়র।  আজ শুক্রবার (১২ জুন) উচ্চ পর্যায়ের এ ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অংশ নেন।  অন্যদিকে একই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে যুক্ত ছিলেন।  করোনা সংক্রমণ রোধে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলে দিয়ে অর্থনীতি সচল রাখতে এখন জোন বা এলাকাভিত্তিক লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  এরইমধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার জোনভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে।
তিন মাসের বেশি সময়ে দেশে সর্বাধিক মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত হয়েছে আজ ১২ জুন।  এদিন ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন। সর্বাধিক মৃত্যু ও শনাক্তের দিন এমন ভার্চুয়াল বৈঠক করলো সরকারের উর্ধ্বতনরা।
বৈঠকে অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত কমিটি সক্রিয় করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানানো হয় এই বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
‘দেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এবং উপ-কমিটিকে সক্রিয় করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম’।  তাজুল ইসলাম বলেন, ত্রাণবিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিগুলোকে সক্রিয় করে লকডাউনের বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তা অধিক কার্যকরী হবে।  জোনভিত্তিক এলাকাগুলোতে অন্য জরুরি সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুবিধার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেল করে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে তখন সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যস্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে।  কারণ করোনা ছাড়াও অন্য আইন-শৃঙ্খলাজনিত বিষয় সামলাতে গিয়ে শুধু করোনা প্রতিরোধে এত সংখ্যক জনবল পদায়ন করা কঠিন হবে।  সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এটা কার্যকরী করতে সহজ হবে।  এসময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য কিছুসংখ্যক হাসপাতাল রাখা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ