একদিনেই রেকর্ড ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হাটহাজারীতে

হাটহাজারী প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।  উপসর্গ নিয়ে ও উপসর্গবিহীন অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপজেলাজুড়ে।  ফলে হাটহাজারী উপজেলা পরিণত হয়েছে করোনার হটস্পটে।  এবার সেই হটস্পটকে জেলার ১৪ উপজেলার শীর্ষে নিয়ে এসেছেন একদিনে নতুন করে রেকর্ড ৫৮ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে।
গত ১১ জুন (বৃহস্পতিবার) চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, উপজেলার কর্মচারী ও বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীসহ রেকর্ড সংখ্যক ৫৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  আজ শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন।  তিনি জানান, বৃহস্পতিবার এই উপজেলায় একদিনে রেকর্ডসংখ্যক ৫৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  এরমধ্যে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ চিকিৎসক, ১ স্বাস্থ্যকর্মী, ৪ পুলিশ সদস্য, বিদ্যুৎ অফিসের ৩ কর্মী, ইউএনও অফিসের ১ কর্মচারী, ৩ জন পুরুষ, ৪ জন শিশু ও ১২ জন নারী।  চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যায় এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া ৩ নারীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও ফোকাল পারসন ডা. তাহনিয়া সাবেরা চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সর্বমোট ১ হাজার ১০৯টি নমুনা চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি, চমেক হাসপাতাল, সিভাসু ও চবি ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।  তারমধ্যে ৮৬৭ জনের নমুনার ফলাফল আমরা পেয়েছি।  প্রাপ্ত ফলাফলে মোট ২৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  যার শতকরা হার প্রায় ২৭.২২ শতাংশ।  এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে অন্য জায়গা থেকে দেয়া নমুনায় ২২ জনসহ সর্বমোট ২৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।  এরমধ্যে উপজেলার বাইরে সিটি কর্পোরেশন ও অন্য উপজেলার রয়েছেন ১০ জন।  আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪৭ জন।
চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার সময়, এটিকে ‘হাই টাইম’ বলা যায়।  এছাড়া চট্টগ্রামে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধিসহ সামাজিক দূরত্ব কোনোভাবেই মানা হচ্ছে না।  সে কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে।  তাই আমাদের উচিত হবে হাসপাতালে নমুনা দেয়ার পর থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হোমকোয়ারেন্টিন মেনে চলা।  আমরা সে দিকেই গুরুত্ব দিতে বলছি সবাইকে।

ডিসি/এসআইকে/এমএমইউএম