পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষক ও বাজার ইজারাদারদের দুর্দিন

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই প্রতিনিধি >>>
লকডাউনের দীর্ঘ ৬৬ দিনের সময়কালে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা বাজারে সাপ্তাহিক হাট আগের নিয়মে চালাতে না পারা এবং মৌসুমি ফল, তরু-তরকারি, মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন কাঁচা পণ্য বেচা-কেনা করতে না পারায় পাহাড়ি-বাঙালি প্রান্তিক কৃষক ও বাজার ইজারাদারেরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।  লোকসানের হিসেবের অংক গুনতে হচ্ছে বলে ইজারাদার ও কৃষকরা অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন।  বিশেষত বাজারের উপর নির্ভরশীল প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।  পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চিরঞ্জিব এই ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার বলেন, চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সরকার জনস্বার্থে যা পরামর্শ দিয়েছেন তা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা গুরুত্বের সাথে মেনে চলেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার জনস্বার্থে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করাসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসসমূহ সাধারণ ছুটির আওতায় এনে লকডাউন ঘোষণা করে।  সারা দেশের ন্যায় কাপ্তাইয়েও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।  ফলে অন্য যে কোনো এলাকার তুলনায় কাপ্তাইয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের মাঝে কম ছড়িয়েছে এবং মৃত্যুর হারও একেবারেই কম।  কিন্তু এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বাজার ইজারাদারেরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এদিকে রাঙামাটি জিলা পরিষদ বাজার ফান্ড থেকে বাজার ইজারা নেয়া উত্তম মারমা ও বড়ইছড়ি ওয়াগ্গা বাজার ইজারাদার চৌধুরী রিয়াদুল আলম রনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বড় ধরণের ক্ষতিতে পড়েছি।  পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্দিন যাচ্ছে এই বাজারের উপর নির্ভরশীল প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষদ্র বিক্রেতাদের।  এমন পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট বিভাগ সু-বিবেচনাপূর্বক সমস্যা সমাধানে মানবিক বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

ডিসি/এসআইকে/এমএ