উত্তর কাট্টলীতে লকডাউনের কঠোরতা বেড়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতাও নেই

  • সুমাইয়া সিমু, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি >>>
    প্রথম দিনের ঢিলেঢালা ভাব কাটিয়ে কিছুটা কঠোরতায় নগরের উত্তর কাট্টলীতে লকডাউন বাস্তবায়ন হচ্ছে।  গতকাল ১৭ জুন (বুধবার) লকডাউনে ঢিলেঢালা তৎপরতা নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) তৎপরতা বাড়িয়েছে।  বুধবার বিকেলের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক কয়েকজনকে জরিমানা, কিছু দোকানপাট খোলা রাখায় জরিমানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে তৎপরতার প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।  তবে, গত কালকের মতোই মানুষ নানান অজুহাতে এলাকার বাইরে যাওয়া-আসা করায় প্রশাসনের সেই তৎপরতাকে ব্যর্থ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  পুলিশের উপস্থিতিও অনেক কম দেখা গেছে।  তবে প্রবেশপথগুলোতে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসবক কাজ করার কথা থাকলেও তাদের দেখা যায়নি কোনো স্থানেই।  
    আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উত্তর কাট্টলী ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কর্ণেল জোন্স সড়কের প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া থাকলেও তা দিয়ে মানুষ আসা-যাওয়া করছে।  ব্যারিকেডের ভেতরেই কয়েকটি রিক্সা যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।  অন্যদিকে সাগরিকার বিসিক শিল্প এলাকার সাথে উত্তর কাট্টলীর যে সংযোগ সড়কটি রয়েছে সেটি বাঁশ দিতে বন্ধ করা হলেও মানুষের যাতায়াত অব্যাহত আছে।  ইশান মহাজন সড়কের প্রবেশপথ বাদামতলীতেও সকালের দিকে  সেখান দিয়েও মানুষ অনায়াসেই লডডাউন এলাকা থেকে বের হচ্ছেন-প্রবেশ করছেন।  তবে পরে পুলিশ আসার পর সেটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে ভেতরের এলাকাগুলোর কিছু কিছু স্থানে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো ছিল।  কোনো মানুষকে সড়কে দেখলেই বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস এবং ঘরে থাকার নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমিউনিটি সেন্টার মোড়, ঈশান মহাজন সড়কে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও অন্যান্য জায়গাগুলোতে তাদের তেমন দেখা যায়নি।  অন্যদিকে সকালের দিকে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় কাউন্সিলর সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন উপসড়ক পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর দুইটি টহল গাড়িও এলাকায় দেখা গেছে।  এছাড়াও নিউ মনছুরাবাদ এলাকায় প্রচুর মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে সড়কে।  অলংকার মোড়ের উত্তর কাট্টলী অংশের এলাকাগুলোও অন্যান্য সময়ের মতো মানুষে ভরপুর এবং সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। 
    জানতে চাইলে আকবরশাহ থানা পুলিশের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টিতে একটু সমস্যা হচ্ছে।  তবে আমরা চেষ্টা করছি লকডাউনে যাতে কেউ বের না হন সেটি নিশ্চিত করতে।  আসলে প্রথমদিকে একটু এমনটা হয়।  তবে ঠিক হয়ে যাবে।  আমাদের প্রতি কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
    স্বেচ্ছাসেবকদের প্রবেশদ্বারগুলোতে দায়িত্ব পালন করতে দেখা না যাওয়া প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছি।  ওদেরকে মানুষ চিনতে পারছে না বলে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।  ওদের পরিচয়পত্র, নির্দিষ্ট টি-শার্ট ও ছাতা আজকে দুপুরের মধ্যে দিতে পারবো।  এগুলো দেয়া হলেই প্রবেশপথগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।

ডিসি/এসআইকে/এনএস