কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪ ওয়ার্ড আজ মধ্যরাত থেকে লকডাউন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ওয়ার্ড করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  তাই আজ শুক্রবার (১৯ জুন) মধ্যরাত থেকে সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ওয়ার্ড লকডাউন করা হচ্ছে।  জেলা করোনা বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।  এর আগে গত মঙ্গলবার জেলা করোনা বিষয়ক কমিটির এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, গেলো ক’দিন যাবত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়ে গেছে।  বিশেষ করে রমজানের ঈদের পর থেকেই নগরীর অন্তত ৭টি ওয়ার্ড এলাকায় হু হু করে বাড়তে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। পরবর্তীতে সেখান থেকে ৪টি ওয়ার্ডকে ‘রেডজোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।  যা কার্যকর হবে আজ ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে। চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।
১৬ জুন দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।  উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা সেনানীবাসের ৩৩ বীর এর অধিনায়ক লে কর্নেল মাহাবুব আলম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান, বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিমসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ।
সভায় এমপি বাহার বলেন, ‘কুমিল্লায় হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে।  মানুষকে বাঁচাতে লকডাউন নিশ্চিত করতে হবে।  তাই লকডাউন চলাকালে উল্লেখিত ওয়ার্ডগুলোতে জরুরী ওষুধ ও মোদি দোকান ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।  এ সমস্ত এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবে না।  অন্য এলাকার কেউও এসব এলাকায় ঢুকতে পারবে না।  আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছ্বাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবে’।
তিনি বলেন, ‘ঘোষিত লকডাউন এলাকার মানুষদের খাদ্যের সমস্যায় পড়তে হবে না।  এজন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তালিকা করার জন্য।  জেলা প্রশাসন ও আমার উদ্যোগে তালিকা অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে’।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কুমিল্লার করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।  তাই ঘোষিত রেডজোন ছাড়াও অন্যান্য এলাকার মানুষজনকেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।  করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে হলে সতর্কতা অবলম্বন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই’।
উপজেলা পর্যায়ে রেডজোন চিহ্নিত বা লকডাউন ঘোষণার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জেলার মধ্যে কয়েকটি উপজেলায় করোনার সংক্রমণ বেশি।  এসব এলাকার বিষয়ে স্ব স্ব উপজেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ