তিন ক্রিকেটার নাফিস-মাশরাফি নাজমুল অপু করোনায় আক্রান্ত

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ক্রীড়াঙ্গনে একের পর এক করোনা ভাইরাসের থাবা পড়তে শুরু করেছে। কোভিড-১৯ রোগ ধরা পড়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।  আজ (শনিবার) সাবেক অধিনায়কের ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গতকাল শুক্রবার করোনা ধরা পড়ে সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবালেরও।  তাদের সংবাদ শিরোনাম না হতেই এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।  করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের এই তিন খেলোয়ারও।
জানা গেছে, করোনার উপসর্গ থাকায় গতকাল শুক্রবার পরীক্ষা করিয়েছিলেন মাশরাফি। আর আজ (শনিবার) দুপুরে করোনার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে তার।  মাশরাফির আগে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তার শাশুড়ি ও স্ত্রীর বড় বোন।  মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বলেছেন, ‘ভাইয়ার দুই দিন ধরে জ্বর।  গতকাল (শুক্রবার) রাতে টেস্ট করান উনি।  আজ (শনিবার) টেস্টে পজিটিভ এসেছে।  ভাই বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন।  সবাই তার জন্য দোয়া করবেন’।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি সংক্রমণের শুরু থেকেই এলাকার জনগণের সেবার কাজ করে যাচ্ছেন।  গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার নড়াইল যেতে হয়েছে তাকে।  এখন তিনি নিজেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত।  দুই দিন আগেও করোনার নমুনা সংগ্রহে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।   গত তিন মাসে করোনার সংক্রমণ রোধে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও ওপেনার ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবালের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।  তিনি এখন চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িস্থ নিজ বাসাতে আইসোলেশনে আছেন।  চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের একটি সূত্র আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।  তবে নাফিস ইকবালের পারিবারিক একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
সূত্র জানায়, নাফিস ইকবাল গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন।  ফলে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।  শুক্রবার রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।  এরপর থেকে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।  বাসায় আইসোলেশনে থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।  সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবাল।  করোনা মহামারির শুরু থেকেই দুস্থদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল ও নাফিস ইকবাল।  দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের দুস্থ মানুষ ও খেলোয়াড়-কোচদের পাশে।  ২০০৪ সালে ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় নাফিস ইকবালের।  ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের বিখ্যাত জয়ের ম্যাচটি ছিল নাফিসের ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে।  দারুণ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১১ টেস্ট আর ১৬ ওয়ানডে খেলেই থেমে যেতে হয় এই ওপেনারকে।  টেস্টে ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৫১৮ এবং ওয়ানডেতে ২ ফিফটিতে ৩০৯ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।  ছেড়ে দিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও।  তবে খেলা ছাড়লেও মাঠে আছেন এখনো।  বিপিএল ও ঢাকা লীগের বিভিন্ন দলে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএস