দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
একদিনে আরও নতুন করে আরো ৩ হাজার ৪৬২ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনে। আজ বুধবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৮২ জন। অন্যদিকে, আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ২ হাজার ৩১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৬৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বুধবার দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এই তথ্য তুলে ধরেন। নাসিমা সুলতানা জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বাসায় ৩ জন মারা গেছেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬৬টি পরীক্ষাগারে ১৬ হাজার ৪৩৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন যুক্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৪৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩ হাজার ১৫৮ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫১৮ জন এবং এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৭০৩ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ২১ হাজার ৮৬১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৬৩১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৯১ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮১৭ জন এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩১ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৯৬০ জন’।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ