লামা পৌরসভায় লকডাউন শুরু

মিজানুর রহমান, লামা (বান্দরবান) থেকে >>>
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সদর ও রুমা উপজেলার পর এবার লামা উপজেলাকেও রেডজোন ঘোষণা করলো প্রশাসন।  করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বান্দরবানের জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংসই প্রু মার্মা এ ঘোষণা দেন।  পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) লামা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সকাল থেকে পৌর এলাকায় পরবর্তী ২১ দিন পর্যন্ত লকডাউন মেনে চলতে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে আগামি ২১ দিন ঔষধের দোকান ব্যতীত সবধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।  লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারবে না।  তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে করে প্রতিটি পৌরসভার ওয়ার্ডে শাকসবজি ও কাঁচামাল বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডবাসী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে গঠিত প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা গ্রহণ করবেন।
জানা যায়, উপজেলায় সংক্রমণের শুরুর দিন থেকে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মী, পৌর কাউন্সিলর, পুলিশ, সাংবাদিক, চেয়ারম্যান, এনজিও ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  ইতোমধ্যে মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও মানুষের বিচরণ বৃদ্ধি হওয়ায় সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনেই একজনের ফলোআপ রিপোর্টসহ ৯ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে।  তাছাড়া এর আগে ২৩ জুন পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশ সদস্যসহ মোট ১০ জনের করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক।  যার ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুসারে পৌর এলাকা রেডজোনের আওতাভুক্ত হয়ে যায়।  তবে লামা পৌরসভাকে রেডজোন ঘোষণা দিলেও ইউনিয়নগুলো জোনের আওতামুক্ত থাকবে কিনা বিষয়টি জারি করা নোটিশে উল্ল্যেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পৌর এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পৌর শহরকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউনের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  এই লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।  অনুগ্রহপূর্বক নিজের পরিবারের ও জনস্বার্থে আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলুন।  অন্যথায় কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হেবে বলে তিনি সতর্ক করেন।

ডিসি/এসআইকে/এমআর