সাংবাদিকদের সহায়তার চেক বিতরণ করলেন তথ্যমন্ত্রী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ করোনা মহামারির মধ্যে কোনো সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত না করার আহ্বান জানিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে কোনো মানুষের চাকরিচ্যুতি অমানবিক।  মালিকপক্ষকে বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।  আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ করোনা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলো না।  মানব সভ্যতার ইতিহাসে এ ধরণের কোনো মহামারি মোকাবিলা করার ইতিহাস নেই।  এতো ছোট ভাইরাস চোখেও দেখা যায় না।  এ ভাইরাস ছড়িয়ে না দিয়ে মানব জাতিকে সুরক্ষা দিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে চীন করোনা ভাইরাসকে অস্বীকার করেছে।  যে ডাক্তার করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করেছেন, চীন সরকার তাকে গ্রেফতারও করেছে।  সেই ডাক্তার শেষ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
 তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে মৃত্যুর মিছিল হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছেন।  শুরু থেকে ত্রাণ তৎপরতা চালু করেছেন।  ত্রাণ অব্যাহত আছে।  এখনও কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি।  ইমাম-মোয়াজ্জিন থেকে শুরু করে সবার কাছে সাহায্যের টাকা পৌঁছে গেছে।  ৭ কোটি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে সরকার।  সরকারের মন্ত্রী-এমপি সাধারণ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সার্বিকভাবে সরকার করোনায় মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে কম।  তাই অন্ধের মত সমালোচনা না করে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে