শর্তসাপেক্ষে খুলেছে নিত্যপণ্যের দোকান, বান্দরবানে লকডাউনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পৌরসভা এলাকা এবং লামা পৌরসভায় চলছে লকডাউন।  গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে ২১ দিন।  লকডাউনের ১১ দিনের মাথায় লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানসমূহ খোলার অনুমতি দিয়েছে।  আজ রবিবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে প্রশাসন।  প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।  তবে লকডাউনে ঔষধের দোকান ছাড়া মাছ বাজার, কাঁচাবাজারের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ চলাচলও।
এদিকে, চলমান লকডাউনে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরত্বের সরকারি নির্দেশনা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় তেমন গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে না।  স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানায় লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।  অন্যান্য সাধারণ সময়ের মতোই মানুষ ঘোরাফেরা করছেন এবং বাজার-সদাই করতে দেখা গেছে।  অধিকাংশ মানুষকেই মুখে মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।  ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
অন্যদিকে, বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে ৯টি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শাক-সবজি, কাঁচাপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করছে পৌর প্রশাসন। ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা।  প্রতিটি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর করার জন্য পৌরসভার নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবকরা সকাল থেকে ওয়ার্ড এর প্রবেশমুখে অবস্থান নেয় কর্মীরা।  জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত ঘোরাঘুরি বন্ধে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছে।  এছাড়াও জনসাধারণকে লকডাউন মেনে চলার জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।  
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, বান্দরবানে করোনা ভাইরাসে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হযেছেন।  এজন্য পৌরসভা এলাকাকে রেডজোন করে লকডাউন করা হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা।  এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সাথে যুক্ত।  তবে করোনার এই সময়টা বান্দরবান সদর লকডাউন হয়ে যাওয়ায় এবং করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  করোনার এই সংকটকালীন সময়ে আমরা বান্দরবানের লকডাউনে থাকা হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি এবং আগামিতে ও এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  তিনি কষ্ট হলেও লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানান পৌরবাসীকে।

ডিসি/এসআইকে/এসআইটি