মাহফুজ আলম, কাপ্তাই প্রতিনিধি >>>
পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের অধিকাংশএলাকায় এবারও টাইফয়েড, ভাইরাস জ্বর ও পানিবাহিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাহাড়ি দূর্গম এলাকার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ পরিবারের ছোট-বড় প্রায় সবার দেহেই এসব রোগ ধরা পড়ছে। এছাড়াও এ মৌসুমে সর্দি, কাঁশি, জ্বরকে অনেকে মনে করছেন করোনার উপসর্গ। আর এ কারণেও অনেকটা আতঙ্ক বেড়েছে। তবে দূর্গম এলাকার মানুষ পাহাড়ি ঝোপ-ঝাড়ে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন ওষধী গুণাগুণসম্পন্ন বনাজী ওষুধ দিয়ে সেরে উঠলেও অধিকাংশ মানুষ সে সম্পর্কে না জানায় আতঙ্কে ভুগছেন। তাই নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিদিনই। তবে অধিকাংশ আক্রান্তরাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ফার্মেসীগুলো থেকে ওষধ নিয়ে খাচ্ছেন।
স্থানীয় চিকিৎসকেরা জানান, সর্দি, কাঁশি হলেই করোনা নয়, এটা একটি মৌসুমি ভাইরাস রোগও হতে পারে। কাপ্তাই নতুন বাজারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মহিম চাকমা দৈনিক চট্টগ্রাম জানান, তার ল্যাবে বেশির ভাগ রোগী আসেন টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার জন্য। তার মধ্যে বেশিরভাগ রোগী টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত দেখা যায়।
কাপ্তাই নতুন বাজারের মুনমুন মেডিকেল হলের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সোমেন দত্ত দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, তার ঔষধ ফার্মেসীতে প্রতিদিন সর্দি কাঁশি এবং ভাইরাস জ্বর নিয়ে ৪০-৪৫ জন রোগী আসে এবং রোগীরা নিজ উদ্যোগে ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। তাদের অধিকাংশই টাইফয়েড এ ভুগছে। পানিবাহিত রোগের কারণে বেশির ভাগ রোগী টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, বর্তমানে প্রায় রোগীর সর্দি, কাশিঁ, জ্বর দেখা দিচ্ছে। তিনি জানান, সর্দি কাশি হলেই তা করোনা নয়। তাই তিনি সকলকে আতংকিত না হবার পরামর্শ দেন। কারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ভিন্ন। কাজেই অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নমুনা পরীক্ষা দিয়ে রিপোর্ট অনুসারে চিকিৎসা নিন।
ডিসি/এসআইকে/এমএ