করোনার দ্বিতীয় ঢেউ : লকডাউন নয়, আইনী কঠোরতায় থাকবে সরকার

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করছে সরকার।  তবে এ সংক্রমণ পরিস্থিতি তৈরি হলেও ফের লকডাউন বাস্তবায়ন করবে না সরকার।  তবে বিদ্যমান আইন প্রয়োগে কঠোরতা দেখিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।  এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।  এ বিষয়টি মাথায় রেখে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  অর্থনীতি সচল রাখতেই পুনরায় লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতি সচল রাখতে ফের লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার।  তবে করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা চালানো হবে।  সবাইকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।  তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দরে মানুষের ঢোকা ও বের হওয়ার বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হবে।  এছাড়া মসজিদ, মার্কেটসহ সব জায়গায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ইস্যুতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।  সংক্রমণ বাড়লে সে পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করা হবে, তা নিয়েই এ পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।  আর এ পরিকল্পনা সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতেও বলা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে সম্প্রতি কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।  এ সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েহে।
এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।  পরামর্শক কমিটির মতে, করোনার টিকা উৎপাদনে সারাবিশ্ব সক্রিয় হলেও কার্যকর টিকার প্রাপ্যতা সময়সাপেক্ষ।  জীবিকার স্বার্থে লকডাউন জারি রাখা সম্ভব না হওয়ায় জনসাধারণকে আরো সচেতন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যা সংখ্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  তবে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে, এখনো আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে।  সংকোচন করা হলেও যেন পুরোপুরি বন্ধ না করা হয় এবং প্রয়োজনে পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে এ কমিটি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ