৪ বছর পর বোয়ালখালী সরকারি হাসপাতালে সিজার অপারেশন

মোহাম্মদ জুয়েল, বোয়ালখালী প্রতিনিধি >>>
দীর্ঘ ৪ বছর পরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। এর ফলে স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারীরা সিজারিয়ান অপারেশন সুবিধা পাবেন।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে একজন প্রসুতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে এ অপারেশন থিয়েটার যাত্রা শুরু করে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. স্মিতা মুহুরী এবং মেডিকেল অফিসার ডা. কান্তা অধিকারীর তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনটি পরিচালনা করা হয়। অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ছিলেন ডা. সৌমেন বড়ুয়া।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজর্ষি নাগ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্তেও ডাক্তার সঙ্কটের কারণে বহুবছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। তিনি আরো বলেন, সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া নবজাতক ও মা দু’জনেই সুস্থ আছেন।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, হাসপাতালে সিজার করায় আনেক কম টাকা লেগেছে। এখানে সিজার করাতে না পারলে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে হতো। কম পক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো। এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া) পদটি প্রায় ৪ বছর ধরে শূন্য থাকার কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া) ডা. সৌমেন বড়ুয়া সপ্তাহে এক দিন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনেসথেসিয়া কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যবস্থা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. স্মিতা মুহুরী এবং মেডিকেল অফিসার ডা. কান্তা অধিকারী সিজারিয়ান কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সিজারিয়ান অপারেশনে সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স তন্দ্রা দেওয়ানজী, মিডওয়াইফ শাহানাজ পারভীন এবং ওটি এটেনডেন্ট মো. সালাউদ্দিন। এই সময় উপস্থিত থেকে সিজারিয়ান কার্যক্রমটি মনিটরিং করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজর্ষি নাগ।

ডিসি/এসআইকে/এমজে