চমেক হাসপাতালে আরো ৮ আইসিইউ বেড স্থাপন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চলমান করোনা সংকটকালে চরমভাবে আইসিইউ সংকটে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন করে আরো ৮ টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয়েছে।  শনিবার (২১ নভেম্বর) শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব শয্যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।  এ নিয়ে চমেক হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বেড়ে হলো ২০টি।  এছাড়া কোভিড-১৯ ইউনিটে আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
এসব শয্যা স্থাপন কার্যক্রম শেষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য নওফেল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতসহ সার্বিক উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিক।  চমেক হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংকটের কারণে মুমূর্ষু রোগী অন্যত্র স্থানান্তরের যে সমস্যা ছিল, তা নতুন আটটি আইসিইউ শয্যা সংযুক্ত হওয়ার কারণে অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মনে করি।  নতুন আইসিইউ শয্যাগুলো অনেক সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে’।  নওফেল বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারই প্রথম এ দেশের পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মেহনতি মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে।  চিকিৎসা সেবাকে থানা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু করেন।  চিকিৎসকদের সরকারি চাকুরিতে সম্মান ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছিলেন।  এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতি ৬০০০ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে স্বাস্থ্য সেবাকে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন, যা শুধু বাংলাদেশে নয় আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে’।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য এই চমেক হাসপাতাল সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল।  এখানে ১২টা আইসিইউ বেড ছিল।  নতুন আইসিইউ বেড সংযোজিত হওয়ায় রোগীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
হাসপাতাল পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুজত পাল, প্রসূতি ও গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা ডা. শাহানারা চৌধুরী, আইসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ, অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রঞ্জন কুমার নাথ, কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ, উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. হুমায়ুন কবিরসহ হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ