এবার ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চমেক হাসপাতালে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সেবা নিতে যাওয়া রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল।  আগত রোগীদের দ্রুততার সাথে সেবাদানের লক্ষ্যে এই বিভাগটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।  হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কমাতেও এই সার্ভিসটি সহায়তা করবে বলে কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা।
জানা গেছে, এই সার্ভিস পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।  এছাড়া পুরোনো জরুরি বিভাগের পাশে ক্যাজুয়াল্টি বিভাগ, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কক্ষগুলো ভেঙ্গে নতুন করে সুরক্ষিত ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে।  পুরো কাজটি শেষ করতে সময় লাগতে পারে প্রায় ছয় মাস।  সার্ভিসটিতে আরও থাকবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এবং পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটসহ সাধারণ শয্যা।
এছাড়া এই ‘ওয়ান স্টপ সেন্টারে’ ব্যবস্থা রাখা হবে প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি, পালস অক্সিমিটার এবং রক্তের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা।  রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় লাল, হলুদ, সবুজ জোনে ভাগ করা হবে।  একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা দিতে মেডিকেল অফিসারের পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবেন একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সার্ভিসটি চালু হলে রোগীর ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।
হাসপাতালের পরিচালক এস এম হুমায়ুন কবীর দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই সার্ভিসটি চালুর চেষ্টা করছি আমরা।  কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আমাদের এই কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছিল না।  তবে হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর কাজ চলছে৷  এই সার্ভিস চালু হলে রোগীদের জরুরি বিভাগে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করে থাকে।  তিনি বলেন, হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিসে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে।  ইচ্ছে আছে আইসিইউ শয্যা যুক্ত করার।  জরুরি বিভাগে আসা যেকোনো রোগীকে প্রথমে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার দেখবেন।  এরপর রোগীর রোগ ও অবস্থা বুঝে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন।  পরে অবস্থা অনুযায়ী তার চিকিৎসা সেবা শুরু হবে।  প্রয়োজন হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওয়ার্ডে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৩টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার আড়াইগুণ।  এছাড়া বেশ কিছু রোগী রয়েছে যারা কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন।  কিন্তু এইসব রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার ফলে জরুরি ও গুরুতর রোগীদের স্থান দিতে কষ্ট হয়।

ডিসি/এসআইকে/এনএজে