দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনা, পরিবহন ও সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটিতে ভ্যাকসিন কেনা, পরিবহন ও সংরক্ষণ বাবদ খরচ হবে মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। শুধু ভ্যাকসিন কিনতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উঠলে তা অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি নির্ধারিত তালিকায় না থাকলেও এটি বিশেষ ব্যবস্থায় সরাসরি উপস্থাপন করা হয়েছে।
চলমান ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডামিক প্রিপার্ডনেস’ প্রকল্পের সঙ্গে উক্ত ব্যয় যুক্ত করার কারণে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে। তবে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি ভ্যাকসিনের পরিমাণ ও একক মূল্য।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এর আগে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দ্রুত প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। তাই কিছু ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়।
অন্যদিকে, দেশে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগে নীতিমালাও চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে ১৩৭ পৃষ্ঠার এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
ওই দিন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দেন।
এদিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি বাংলাদেশে ব্যবহারের আর কোনো বাধা থাকছে না।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, এখন সেরাম ইনস্টিটিউটকে চুক্তি অনুযায়ী ধাপে ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে হবে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ