করোনায় জর্জরিত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট বাংলাদেশে!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে যে হারে টেস্ট করা হচ্ছে তাতে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।  দেশে করোনায় আক্রান্তের হার এবং মৃত্যু আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।  কিন্তু টেস্ট অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে৷  সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে বাড়ছে, এ নিয়ে দ্বিমত নেই কারোই।  এক্ষেত্রে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো গেলে পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৮.৪৫ টা, ০৪ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন পরিসংখ্যানের জন্য নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের মতে, মোট আক্রান্তের সংখ্যার (প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ) দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৩ তম।  এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (প্রায় তিন কোটি চৌদ্দ লক্ষ)।
কিন্তু, পরিসংখ্যান বলছে- উক্ত ৩৩ দেশের মধ্যে গড়ে সবচেয়ে কম টেস্ট করানো হয়েছে বাংলাদেশে।  প্রতি মিলিয়ন বা প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যার বিপরীতে যা মাত্র ২৮,৮২৮টি।  অথচ সমান জনসংখ্যার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে করা হয়েছে ১২,৩৩, ৪১২টি টেস্ট, যা বাংলাদেশের চেয়ে ৪৩ গুণ বেশি!  প্রতিবেশী ভারতে করা হয়েছে ১,৭৮,৪৭৮টি টেস্ট যা বাংলাদেশের চেয়ে ৬ গুণেরও বেশি।  এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকেও করা হয়েছে ২,০০,৪৩০টি টেস্ট যা বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি।
পাকিস্তানে করা হয়েছে ৪৬,৪২০ টি টেস্ট যা বাংলাদেশের দেড় গুণেরও অনেক বেশি।  দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ নেপালে করা হয়েছে ৭,৭৩,৮৭টি টেস্ট যা বাংলাদেশের চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি।  যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ ফিলিস্তিনেও করা হয়েছে ৩,০৪,৬৬৪টি টেস্ট যা বাংলাদেশের চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি!
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে যদি করোনার টেস্ট আরো অধিক হারে করা হতো তাহলে মোট সংক্রমণের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বের বহু দেশকে পেছনে ফেলে (৩৩ তম থেকে) আরো অনেক সামনে চলে আসতো।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ