চট্টগ্রামে যে কারণে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৮০ জন।  এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৮৪ এবং নারী ১৪ হাজার ৭৯৬ জন।  এ হিসেবে পুরুষের আক্রান্তের সংখ্যা নারীর দ্বিগুণেরও বেশি।
আবার চট্টগ্রামে বয়সের ভিন্নতার ওপর আক্রান্তের সংখ্যায় বড় ধরনের ব্যবধান দেখা গেছে।  পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ২০ বছরের মধ্যের বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৭ জন এবং ৬০ থেকে ঊর্ধ্বের বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৩৬ জন।  বাকি প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্তরা হচ্ছেন ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যের বয়সীরা।
এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যায় নগর এবং গ্রামের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।  শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ২১৫ জন এবং জেলার সবক’টি উপজেলা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৬৫ জন।  শতকরা হিসেবে নগরে ৮০.২৩ শতাংশ এবং গ্রামে ১৯.৮২ শতাংশ ব্যক্তিরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শূন্য থেকে ১০ এর মধ্যের বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৭ জন, ১১ থেকে ২০ এর মধ্যের বয়সীরা ৩ হাজার ২২০ জন, ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যের বয়সীরা ৯ হাজার ১৫৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যের বয়সীরা ১০ হাজার ৯৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ এর মধ্যের বয়সীরা ৮ হাজার ৫৯৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যের বয়সীরা ৭ হাজার ৭১ জন এবং ৬০ এর ঊর্ধ্বের বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৩৬ জন।
বয়স কিংবা নারী-পুরুষের আক্রান্তের হারের তারতম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘যারা বাইরে বেশি বের হয় তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।  ২০ থেকে কম বয়সীরা বাইরে কম বের হওয়ার কারণে আক্রান্ত কম হচ্ছেন।  আবার ৬০ এর ঊর্ধ্বের বয়সীরাও বাইরে কম বের হয় তাই তারা কম আক্রান্ত হন।  একই সঙ্গে নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি বের হতে হয় তাই পুরুষরা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে’।
শহর এবং গ্রামে আক্রান্তের ব্যবধানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামে করোনা আক্রান্ত কম হওয়ার কারণ হচ্ছে সেখানে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি দূরে, মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, রাস্তাঘাটেও শহরের মতো তেমন ভিড় নেই।  আবার লোকজন একে অপর থেকে দূরে থেকে চলাফেরা করতে পারেন।  এদিকে শহরে বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট সর্বত্র জ্যাম থাকায় করোনা একটু বেশি ছড়ায়’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ