পিপিই উৎপাদনে অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, আবেদন শুরু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল অ্যান্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্স ফান্ড’-এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে।  প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসেবে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হবে।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) থেকেই অনুদান পেতে আবেদন করা যাবে।  অনুদান পাওয়া যাবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।
এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদান পাওয়ার যোগ্য হবে।  অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবে।  আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ।  এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ।
যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে অনুদান প্রযোজ্য হবে :
পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড, যেমন- গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।
আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের কার্যক্রম প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টিমবন, বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন।  এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।  এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।  আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।  এ তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি সরকারের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ।  কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ তো আছেই।  উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।
উদ্যোগটির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) কর্মসূচির দলনেতা ডেভ রাঙ্গানাইকালু।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ