কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আজ (শুক্রবার) থেকে ১০ দিনের ‘বিশেষ লকডাউন’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে প্রশাসন। টেকনাফের ইউএনও মো. পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে ইউএনসহ জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে আগামি ৩০ মে পর্যন্ত টেকনাফ থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না এবং বাহির থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেই সাথে ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাশাপাশি যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। তবে চিকিৎসার কাজে ও অসুস্থ রোগী আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
ইউএনও পারভেজ বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে টেকনাফ উপজেলায় সংক্রমণের হার উর্ধ্বগতির দিকে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দিনের অংশগ্রহণে জেলার সব ইউএনওসহ জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আজ (শুক্রবার) থেকে আগামি ৩০ মে পর্যন্ত বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
লকডাউন চলাকালিন টেকনাফ উপজেলার ভিতরে বা বাইরে কোনো পরিবহন/ব্যক্তি যাতায়াত করতে পারবে না। অর্থাৎ টেকনাফ থেকে পার্শ্ববর্তী উখিয়া বা জেলা সদরে কোনো ব্যক্তি ও পরিবহন যাতায়াত বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল খোলা থাকবে। এছাড়া হাটবাজারসহ সবধরণের দোকানপাট বিকাল ৫ টার পর বন্ধ থাকবে। তবে অসুস্থ রোগী পরিবহন ও চিকিৎসার কাজে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।
ইউএনও বলেন, ‘সভার পরপরই বিকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুরো উপজেলাব্যাপী মাইকিং করে প্রশাসনের লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদেরও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথমদিন থেকে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।’
ইউএনও পারভেজ জানান, নতুন করে ১০ দিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের জারি করা পরিপত্র এখনো হাতে আসেনি। আশা করছেন রাতের মধ্যে পৌঁছাবে। এটি হাতে আসার পর গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ