দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
‘মামলা নেবেন নাকি অন দি স্পট ফাইন দেবেন?’ বুধবার (৩০ জুন) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের পশ্চিম পাশের চেকপোস্টে এক মোটরসাইকেল চালককে এ প্রশ্ন করছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
মোটরসাইকেল চালক একজনকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি নানা অজুহাতে এবারের মতো মামলা ও জরিমানা না করে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলেও পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, দু’জন নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না- মর্মে ডিএমপি থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গণমাধ্যমে তা প্রচারও করা হচ্ছে। লকডাউনের তৃতীয় দিনে এসে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। হয় মামলা, না হয় জরিমানা গুনতেই হবে আপনাকে। অগত্যা জরিমানা দিয়ে সঙ্গী যাত্রীকে নিয়ে গন্তব্যে রওনা হন মোটরসাইকেল চালক।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ২৮ জুন থেকে বিধিনিষেধ সাপেক্ষে তিনদিনের লকডাউনের তৃতীয় দিনে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী দেখলেই তাদের কাছে বিশেষ জরুরি কী কাজে যাচ্ছেন জানতে চাচ্ছি। সন্তোষজনক জবাব না পেলে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা অথবা স্পট ফাইন করা হচ্ছে। সকাল থেকে এ চেকপোস্টে সাতজনকে জরিমানা ও স্পট ফাইন করা হয়েছে।
শুধু এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলে দুজন যাত্রী যাচ্ছে কি-না তা দেখছে পুলিশ। তিনদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, দু’জন একসঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়লেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে কিন্তু অনেক মোটরসাইকেল চালক দাবি করেছেন তারা বিষয়টি জানেন না।
আবার কেউ নানা অজুহাত (ডাক্তার দেখানো, রোগী দেখতে যাওয়া, বাবা-মা অসুস্থ, বাজার করতে যাচ্ছেন) দেখিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পুলিশকে এ ব্যাপারে কঠোর হতে দেখা যায়।
আগামিকাল (১ জুলাই) থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এদিন থেকে শুধু পুলিশ নয়, তাদের সহায়তায় সেনাবাহিনী ও বিজিবিও মাঠে থাকবে। গত দুই-তিনদিন করোনায় প্রতিদিন শতাধিক মৃত্যু ও আট হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ায় এ কঠোর লকডাউন দেয়া হচ্ছে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ