চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও সংক্রমণের হার ক্রমে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন এক অংকে থাকার পর এখন দুই অংকে উঠেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩ জন ও চার উপজেলার ৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ২৬৩ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৭০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারার ২ জন এবং হাটহাজারী, মিরসরাই ও রাঙ্গুনিয়ার ১ জন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের একজন ও গ্রামের ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৫২ নমুনার মধ্যে শহরের একটি সংক্রমিত পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে নগরীর একজনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২ টি নমুনার একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২২৩ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের একটিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৫ নমুনার ৩ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ নমুনার সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে কনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ৫৩, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৫৮, চমেকহা’য় ১ দশমিক ৯২, চবি’তে ১০ দশমিক ৫২, এন্টিজেন টেস্টে ৩ দশমিক ৫৭, আরটিআরএল-এ ৫০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১ দশমিক ০৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২০ শতাংশ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর