আরও ৮৮৭টি শয্যা বাড়ছে চমেক হাসপাতালে

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
নতুন ৮৮৭টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।  এতে ২২০০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে হাসপাতালটি।  সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, ২৫ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২২০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও বর্ধিত শয্যায় সেবা চালুকরণে অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।  ঐ চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ১৩১৩ শয্যা থেকে ২২০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও বর্ধিত শয্যায় সেবা চালুকরণে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।  তবে শর্ত থাকে যে, এ সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান, আনুষ্ঠানিকতা ও নিয়ম-কানুন অবশ্যই পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক চিঠির অপেক্ষায় ছিলাম।  অবশেষে সেটিও পাওয়া গেছে।  চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া।  শয্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সে অনুপাতে হাসপাতালের বাজেট-বরাদ্দ, জনবল সবই বাড়বে।  এতে চিকিৎসা সেবার পরিসরও বাড়বে।
২০১২ সালে চমেক হাসপাতালের শয্যা ১০১০টি থেকে বেড়ে ১৩১৩ হয়।  তবে ১৩১৩টি শয্যা হলেও এ হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ভর্তি থাকে তিন হাজারের বেশি।
এদিকে, শয্যা বৃদ্ধির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের জনবল, যন্ত্রপাতি, রোগীর খাবার, ওষুধ এবং বরাদ্দসহ অবকাঠামোও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  তাদের এ বিষয়ে কী কী করণীয়, তা দেখতে বলা হয়েছে।
১৯৬০ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।  সময়ের বিবর্তনে এটি এখন ২২০০ শয্যায় উন্নীত হতে চলেছে।  এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে এমআরআই, সিটি স্ক্যানসহ ক্রমান্বয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), নিউনেটালজি, এন্ডোস্কপি ইউনিট, রেডিওথেরাপি, কিডনি ডায়ালাইজিং ইউনিটসহ নতুন চিকিৎসা সুবিধাসমূহ যুক্ত হয়েছে।
এর পাশাপাশি ঘরোয়া সহিংসতা, নির্যাতন ও নিপীড়ন মোকাবিলার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ২৫ শয্যার বার্ন ইউনিট রয়েছে।  ২০১২ সালে কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট সংযুক্ত করা হয়।  সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত হয়েছে ‘করোনা পরীক্ষণ ল্যাব’।

ডিসি/এসআইকে/সিসি