ফটিকছড়িতে গৃহবধূকে নির্দয় নির্যাতন

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় দেবর নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে মারাত্মক জখম করেছে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে- এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেশমা আক্তার (২৫) নামে ওই গৃহবধূ ওই এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মো. নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার ঝরাঝরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭ টার দিকে গৃহবধূ রেশমা শাশুড়িকে চা খাওয়ার জন্য ডাকতে যান। এতে দেবর রুবেলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ফলে ক্ষীপ্ত হয় রুবেল। এ সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগে যায়। এক পর্যায়ে রুবেল বড় একটি কাঠের বাটাম দিয়ে রেশমার মাথায় আঘাত করে। এসময় ভাসুরসহ দুই ভাই মিলে তার মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করেন বলে অভিযোগ আহত গৃহবধূ রেশমা আক্তারের।
পরে, রেশমার ছোট ভাই ও খালাতো ভাই এসে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জোড়ালো আঘাতের ফলে তার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মাথার তিন জায়গায় বেশ কিছু সেলাই শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রেশমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত গৃহবধূর ভাই আব্বাস উদ্দিন বলেন, বোনের দেবর ‘রুবেল’ বেশ কিছুদিন ধরে আমার বোনকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল এবং নানা ধরণের খারাপ ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে আমার বোন তার স্বামীকে অবগত করলেও তিনি ছোট ভাই বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। আমরা আমার বোন রেশমার ভাসুর কালন, দেবর রুবেল ও ভাসুর পুত্র মানিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
আহত রেশমার ছোট ভাইয়ের অভিযোগ, ‘আমরা ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার বোনের মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সারা শরীর রক্তে ভিজে গেছে। কেউ ডাক্তারের কাছেও নেয়নি। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে দেবর রুবেল, ভাসুর কালন ও তার পুত্র মানিক আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।
এদিকে, আহত রেশমার স্বামী মো. নাজিম উদ্দিন এ ঘটনায় আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, আমরা এ ঘটনার তদন্তে আছি, দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ