করোনার থাবা : ব্রাজিলের আদিবাসীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারেন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ব্রাজিলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। গত রবিবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চলতি মাসের ৫ তারিখে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ব্রাজিলে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪৮৬ জন। ব্রাজিলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নানা ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এসব রোগের শিকার প্রধানত আদিবাসীরাই।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণ প্রথম দিকে সাও পাওলোর শিল্পায়িত এলাকাগুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর তা বিশাল আমাজন এলাকার আদিবাসী জনপদগুলোসহ সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এই আমাজন এলাকার আয়তন স্পেন ও ফ্রান্সের সমান।
সাও পাওলোর ফেডারেল ইউনিভার্সিটি (ইউনিফেস্প) জানিয়েছে, ভাইরাসটি আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। আমাজন রেইনফরেস্টের জিঙ্গু নদী অববাহিকার আদিবাসীদের মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. সোফিয়া মেনডোনাসিয়ার আশঙ্কা, করোনাভাইরাসটি হামের মতো অত্যন্ত সংক্রামক শ্বাসকষ্টজনিত রোগগুলোর আগের প্রাদুর্ভাবের মতো একইরকম প্রভাব ফেলতে পারে।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে ভেনেজুয়েলার সীমান্তের কাছে বসবাসরত ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে হামের প্রকোপে সংক্রমিতদের মধ্যে ৯ ভাগ মারা গিয়েছিল। গবেষক ড. সোফিয়া মেনডোনাসিয়া বলেছেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরোপুরি সচেতনতার অভাব। তারা বুঝতে পারে না তাদের ঠিক কি করা উচিত। তাদের সংস্কার, স্থানীয় প্রজ্ঞা ও সামাজিক সংগঠনগুলো যেভাবে নির্দেশ দেয়, তারা সেভাবেই কাজ করে। এতে তারা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এটা সামাজিক বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত হয়।
কোভিড -১৯ মহামারীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু সম্প্রদায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বনের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অতীতের মহামারীগুলোর সময়ও তারা এভাবেই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে