করোনার থাবায় বিপর্যস্ত কৃষক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি >>>
সবুজ শ্যামল সোনালী এই দেশে হানা দিয়েছে করোনা নামক মরণঘাতি ভাইরাস। তার এই থাবা পড়ছে দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত কৃষককুলে। বাংলার প্রান্তিক কৃষকদের খোঁজ-খবরও কেউ রাখছে না। তবে আশার কথা- সরকার রবিবার (১২ এপ্রিল) এই কৃষকের জন্য, কৃষিখাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। তবে যেসব কৃষক ইতোমধ্যে গত কয়েকমাস ধরে রাত-দিন পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়েছেন তাদের দুরবস্থা সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে।
গত দু’মাস আগে সীতাকুণ্ডের ৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রতিবেদক গিয়েছিলেন গুলিয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, টমেটো চাষে তার ক্ষতি সম্পর্কে। তিনি জানান, কোল্ড স্টোরেজ না থাকার ফলে ও স্লুইস গেট অকেজোঁ হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাছাড়া টমেটোর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ এই প্রান্তিক কৃষক।
করোনা পরিস্থিতিতে সীতাকুণ্ডে টমেটো কেজিপ্রতি ২-৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু নগরে তা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০ টাকায়। নগরে প্রায় সব বাজারেই ২০ টাকার নিচে টমেটো পাওয়া কষ্টসাধ্য। কোল্ড স্টোরেজ না থাকার কারণে সীতাকুণ্ডের প্রান্তিক চাষীরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।এমনও ঘটনা ঘটেছে যে- কষকেরা টমেটোর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফেলে দিচ্ছেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকরা বলেন, তরমুজ, বাঙ্গির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
সীতাকুণ্ডের শীম, বাঙ্গী, তরমুজ উল্লেখযোগ্য অনেক সবজিই সমগ্র বাংলাদেশের বাজারগুলোতে যায়। দেশের সবজি ঘাটতি পূরণে সীতাকুণ্ডের প্রান্তিক কৃষকদের অবদান অতুলনীয়। দেশের এই দুর্দশার সময়েও সবজির দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। সীতাকুণ্ডের কৃষকরা জানান, আমাদের মত প্রান্তিক কৃষকদের বাঁচাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএ