কক্সবাজারে রাতের আঁধারে স্কুল থেকে ট্রাকে পাচার হচ্ছিল বই

কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাতের অন্ধকারে স্কুল থেকে চুরি করে পাচারকালে পাঠ্যবই ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ট্রাক চালক, হেলপার ও ফেরিওয়ালাসহ ৪জনকে।

আটকরা সাতকানিয়া কেরানিহাটের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে স্কুলের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বই চুরির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ালীগ সভাপতি জয়নাল আবেদীন বইসহ ট্রাক জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে একটি ট্রাক গাড়ি স্কুলে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা স্কুলের বিভিন্ন সালের পাঠ্যবই বস্তাবন্দি করে ট্রাকে উত্তোলন করে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে রাতেই চকরিয়া ইউএনওকে মোবাইল ফোনে অবহিত করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর উদ্দীন মু. শিবলী নোমানের তাৎক্ষণিক নির্দেশে রাত সাড়ে ১০টার সময় স্কুলে এসে বইভর্তি ট্রাক জব্দ করেন জয়নাল আবেদীন। এ সময় পাচারকাজে জড়িত ট্রাক চালক, হেলপার ও ফেরিওয়ালাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য এ কাজে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

তবে এ সময় তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্কুল কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধান শিক্ষককের যোগসাজশে বই পাচার কাজে কিছু শিক্ষক ও কমিটির সদস্য জড়িত রয়েছে। তবে বই বিক্রির ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এমনকি সভাপতি, প্রধান শিক্ষকও তাদের কিছুই বলেননি বলে জানান।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে রাতেই স্কুলে এসে বইভর্তি ট্রাক জব্দ করি এবং তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আপাতত বইসহ ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কমিটির সদস্যদের সম্মতি নিয়ে পুরাতন ছিঁড়েপাটা বই বিক্রির জন্য কমিটির একজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাতে কেন পাচার করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।