চট্টগ্রামের তিন ওয়ার্ডে নগর আ’লীগের বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।  শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের ১২ নম্বর সরাইপাড়া, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী এবং ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।  এতে উপস্থিত থেকে স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের দিক-নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
পৃথক এসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও দল মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলরপ্রার্থী আলহাজ্ব মো. নুরুল আমিন, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ও ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের সভাপতি আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহমদ।  তিনটি অনুষ্ঠানই সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।  বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে স্বনির্ভর ফাউন্ডেশন।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দলকে পরিশুদ্ধ ও সুসংহত করতে শেখ হাসিনার সাংগঠনিক নির্দেশনা ও কর্মপন্থা অনুসরণ করে নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আদর্শের জায়গাটিকে পুতঃপবিত্র করে রাখতে হবে।  কারণ বাংলাদেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ থাকতে পারে না।  ১৯৭৫ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তির বৃষবৃক্ষের ডালপালা ছড়িয়ে দিয়ে যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে তা সাময়িকভাবে ব্যর্থ হলেও চিরতরে নির্মূল হয়নি।  তাই আমাদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো সদা সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জিয়াউর রহমান নামক ব্যক্তিটি কখনো মানুষ ছিলেন না।  তার বড় পরিচয় তিনি দানব এবং এদেশে একাত্তরের পরাজিত শক্তির এজেন্ট হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নীল নকশার প্রণেতা।  তিনি পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় যে অপরাধটি করেছেন তা হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তির জন্য ইন্ডিমেনিটি অধ্যাদেশ জারি করা ও খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করা।  তার অপকর্মের দলিল দীর্ঘ।  তিনি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে পাকিস্তান থেকে ডেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন এবং রাষ্ট্র ও সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন ও মূলনীতিগুলোকে একে একে বিসর্জন দিয়েছিলেন।  তাই তারই সৃষ্টি বিএনপি নামক দলটি কখনো রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে না।  এই চক্রটি বিশ্ব শান্তি-সাম্য-মৈত্রী এবং মানবতাবিধ্বংসী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের এদেশীয় কাশিম বাজার কুঠির মতোই একটি অশুভ প্লাটফরম।  নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শক্তি ও ভিত্তির প্রধান উৎস দলের অভিন্ন ঐক্য।  চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই অভিন্ন ঐক্যকে ধারণ করতে তৃণমূল থেকে ত্যাগী ও পরীক্ষিত রাজনীতিকদের পদ-পদায়ন করবে।  আমাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যাতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মোমিনুল হক, সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আলী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার মালিক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম, ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফল হক খুশি প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ