‘ভোটে ধারাবাহিক অনিয়ম, কারচুপি ও ধরপাকড়ের’ প্রতিবাদে সমাবেশ করবে বিএনপি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে কারচুপি এবং নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।  আগামিকাল শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় এবং পরদিন রবিবার (১৫ নভেম্বর) সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মির্জা ফখরুল এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত আগের সব নির্বাচনের মতো দু’টি উপনির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপি, অনিয়ম ও ভোট ডাকাতি হয়েছে।  এদিকে নাশকতার মামলা দিয়ে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে ধরপাকড় করা হয়েছে।  এসবের প্রতিবাদে আমরা সমাবেশ করব’।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ করে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল একে-অপরকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছে।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ধানমণ্ডির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সরকারের কোনো কোনো এজেন্ট এ কাজ করে থাকতে পারে’।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে অন্তত ৯টি বাসে আগুন দেয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, কালকে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।  এই ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সাহায্য করে না, ক্ষতিগ্রস্ত করে।  সে বিষয়ে আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, একটি টিভি চ্যানেলেও খবর প্রকাশ হয়েছে যে, সরকারি দলের ছাত্রলীগের এক ছেলেকে গতকালের ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে এবং সে বলেছে যে, তাকে পয়সা-টয়সা দিয়ে নিয়ে এসছে আওয়ামী লীগের লোকেরা।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই খবরটি প্রকাশ হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যে উপনির্বাচনটা হলো এটা একেবারেই নির্বাচন বলা হয় নাই।  এটা একটা পাতানো ও জালিয়াতি নির্বাচন হয়েছে সেটা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে দূরে রাখার জন্য এই বাস পোড়ানোর ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে।  প্রতিটি নির্বাচনেই ধারাবাহিকভাবে অনিয়ম, কারচুপি, ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।  নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ কমিশনে পরিণত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে এই অনিয়মে ব্যবহার করা হচ্ছে’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ